পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিম প্রান্তের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে বিদ্রোহীদের ডেরায় ফের হামলা চালাল পাক বাহিনী। ওই হামলায় ‘তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান’ (টিটিপি)-এর ১৭ জন বিদ্রোহীর মৃত্যু হয়েছে। খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় এই বিদ্রোহী গোষ্ঠী। পাকিস্তানি সেনা এবং স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে প্রায়শই তাদের সংঘর্ষ লেগে থাকে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই অনুসারে, শনিবার সেখানকার প্রাদেশিক পুলিশ জানিয়েছে, পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীর হানায় অন্তত ১৭ জন বিদ্রোহীর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার পাকিস্তানি আধাসেনা বাহিনী ‘ফ্রন্টিয়ার কর্প্স’ এবং স্থানীয় পুলিশ যৌথ ভাবে এক অভিযান চালায় খাইবার পাখতুনখোয়ার কড়ক প্রদেশে। পাকিস্তানের দাবি, সেখানে টিটিপি বিদ্রোহীরা লুকিয়ে রয়েছেন বলে গোপন সূত্রে খবর যায় বাহিনীর কাছে। সেই মতোই তারা অভিযান চালায়। বাহিনী সেখানে পৌঁছোতেই বিদ্রোহীরা গুলি চালানো শুরু করে বলে দাবি খাইবার পাখতুনখোয়া পুলিশের। তাদের বক্তব্য, বাহিনীর পাল্টা গুলিতে ১৭ জন বিদ্রোহীর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ওই এলাকা থেকে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানি পুলিশ। সংঘর্ষে জখম হয়েছেন পাকিস্তানি বাহিনীর তিন জওয়ানও।
বর্তমানে পাকিস্তানে সক্রিয় বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির মধ্যে অন্যতম টিটিপি। ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালিবান ক্ষমতায় আসার পর তাদের শক্তিও বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের নানা প্রান্তে হামলা, বিস্ফোরণের ঘটনার দায় তারা স্বীকার করেছে। পাকিস্তানের অভিযোগ, অনেক টিটিপি নেতাই এখন আফগানিস্তানের তালিবানের আশ্রয়াধীন।
বালোচিস্তানে সক্রিয় ‘বালোচ লিবারেশন আর্মি’ (বিএলএ) এবং অন্যদিকে আফগানিস্তান সীমান্তে সক্রিয় টিটিপি— দুই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে ধারাবাহিক লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানি বাহিনী। দু’সপ্তাহ আগেও খাইবার পাখতুনখোয়ায় দক্ষিণ ওয়াজ়িরিস্তান এবং বাজ়াউর জেলায় এলাকায় গুলির লড়াইয়ে ১২ জন সেনা এবং অন্তত ৩৫ জন টিটিপি বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন।
সম্প্রতি পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে একটি বিস্ফোরণে অন্তত ২৪ জনের মৃত্যু হয়। সংবাদ সংস্থা এপি-র তথ্য বলছে, নিহতদের মধ্যে মহিলা এবং শিশুও রয়েছে। এই প্রদেশে দীর্ঘ দিন ধরে সক্রিয় তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) বা পাকিস্তানি তালিবান নামক জঙ্গিগোষ্ঠী। পাকিস্তানের স্থানীয় পুলিশের দাবি, জঙ্গিদের ডেরায় মজুত করে রাখা বোমা ফেটে এই বিস্ফোরণ। যদিও সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ( পিটিআই) দাবি করেছে, পাক সেনা হামলার কারণেই ওই বিস্ফোরণ। যদিও পাক প্রশাসন তা অস্বীকার করেছে।
ওই ঘটনার পরে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কাউন্সিলের সভায় নাম না-করে পাকিস্তানকে বিঁধেছিল ভারত। ভারতীয় দূত ক্ষিতি ত্যাগী বলেছিলেন, “একটি প্রতিনিধিদল ভারতের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন এবং উস্কানিমূলক বক্তব্যের জন্য এই মঞ্চের (রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কাউন্সিলের) অপব্যবহার করে যাচ্ছে। আমাদের ভূখণ্ড (দখল)-এর লোভ ছেড়ে তাদের উচিত অবৈধ ভাবে দখল করে রাখা ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে সরে যাওয়া। এ সব ছেড়ে তাদের উচিত নিজেদের ‘লাইফ সাপোর্টে’ থাকা অর্থনীতি, সেনার হস্তক্ষেপে বিধ্বস্ত রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং মানবাধিকারের অবক্ষয় দূর করতে পদক্ষেপ করা। অবশ্য যদি তারা সন্ত্রাস ছড়ানো, রাষ্ট্রপুঞ্জের ঘোষিত জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়া এবং নিজেদের লোকেদের উপর বোমা ফেলা থেকে অবকাশ পায়।”
শুক্রবার পাকিস্তানি আধাসেনা বাহিনী ‘ফ্রন্টিয়ার কর্প্স’ এবং স্থানীয় পুলিশ যৌথ ভাবে এক অভিযান চালায় খাইবার পাখতুনখোয়ার কড়ক প্রদেশে। পাকিস্তানের দাবি, সেখানে টিটিপি বিদ্রোহীরা লুকিয়ে রয়েছেন বলে গোপন সূত্রে খবর যায় বাহিনীর কাছে। সেই মতোই তারা অভিযান চালায়। বাহিনী সেখানে পৌঁছোতেই বিদ্রোহীরা গুলি চালানো শুরু করে বলে দাবি খাইবার পাখতুনখোয়া পুলিশের। তাদের বক্তব্য, বাহিনীর পাল্টা গুলিতে ১৭ জন বিদ্রোহীর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ওই এলাকা থেকে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানি পুলিশ। সংঘর্ষে জখম হয়েছেন পাকিস্তানি বাহিনীর তিন জওয়ানও।
বর্তমানে পাকিস্তানে সক্রিয় বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির মধ্যে অন্যতম টিটিপি। ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালিবান ক্ষমতায় আসার পর তাদের শক্তিও বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের নানা প্রান্তে হামলা, বিস্ফোরণের ঘটনার দায় তারা স্বীকার করেছে। পাকিস্তানের অভিযোগ, অনেক টিটিপি নেতাই এখন আফগানিস্তানের তালিবানের আশ্রয়াধীন।
বালোচিস্তানে সক্রিয় ‘বালোচ লিবারেশন আর্মি’ (বিএলএ) এবং অন্যদিকে আফগানিস্তান সীমান্তে সক্রিয় টিটিপি— দুই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে ধারাবাহিক লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানি বাহিনী। দু’সপ্তাহ আগেও খাইবার পাখতুনখোয়ায় দক্ষিণ ওয়াজ়িরিস্তান এবং বাজ়াউর জেলায় এলাকায় গুলির লড়াইয়ে ১২ জন সেনা এবং অন্তত ৩৫ জন টিটিপি বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন।
সম্প্রতি পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে একটি বিস্ফোরণে অন্তত ২৪ জনের মৃত্যু হয়। সংবাদ সংস্থা এপি-র তথ্য বলছে, নিহতদের মধ্যে মহিলা এবং শিশুও রয়েছে। এই প্রদেশে দীর্ঘ দিন ধরে সক্রিয় তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) বা পাকিস্তানি তালিবান নামক জঙ্গিগোষ্ঠী। পাকিস্তানের স্থানীয় পুলিশের দাবি, জঙ্গিদের ডেরায় মজুত করে রাখা বোমা ফেটে এই বিস্ফোরণ। যদিও সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ( পিটিআই) দাবি করেছে, পাক সেনা হামলার কারণেই ওই বিস্ফোরণ। যদিও পাক প্রশাসন তা অস্বীকার করেছে।
ওই ঘটনার পরে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কাউন্সিলের সভায় নাম না-করে পাকিস্তানকে বিঁধেছিল ভারত। ভারতীয় দূত ক্ষিতি ত্যাগী বলেছিলেন, “একটি প্রতিনিধিদল ভারতের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন এবং উস্কানিমূলক বক্তব্যের জন্য এই মঞ্চের (রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কাউন্সিলের) অপব্যবহার করে যাচ্ছে। আমাদের ভূখণ্ড (দখল)-এর লোভ ছেড়ে তাদের উচিত অবৈধ ভাবে দখল করে রাখা ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে সরে যাওয়া। এ সব ছেড়ে তাদের উচিত নিজেদের ‘লাইফ সাপোর্টে’ থাকা অর্থনীতি, সেনার হস্তক্ষেপে বিধ্বস্ত রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং মানবাধিকারের অবক্ষয় দূর করতে পদক্ষেপ করা। অবশ্য যদি তারা সন্ত্রাস ছড়ানো, রাষ্ট্রপুঞ্জের ঘোষিত জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়া এবং নিজেদের লোকেদের উপর বোমা ফেলা থেকে অবকাশ পায়।”